Monday, October 29, 2018

টিক টকের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়

যদি আপনি কিশোর হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আয় করার তেমন একটা পথ থাকেনা।১৫-৬০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওর মাধ্যমে যদি আপনি টাকা আয় করতে পারেন তাহলে আপনার কেমন লাগবে? টিক টক বিশ্বব্যপী একটি ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা ১৫-৬০ সেকেন্ডের ভিডিও দিয়ে আয় করতে পারবেন। ট্যালেন্টেড টিক টক ইউজাররা যারা মিউজার নামে পরিচিত তাদের এই অ্যাপের মাধ্যমে আয় করার নানা রকম পথ রয়েছে। তাহলে চলুন আজ আলোচনা করা যাক কিভাবে টিক টক বা মিউজিকালি (যদিও এখন মিউজিকালি নামটা পরিবর্তন করে টিক টক রাখা হয়েছে) দিয়ে আয় করা যায়।

লাইভলি:

লাইভলি হচ্ছে একটি টিক টক এর আরেকটি অংশ, যেখানে ফেইসবুক বা ইউটিউবের মত লাইভ পারফর্ম করা যায়। সাধারণত যেসব মিউজারেরা বেশি জনপ্রিয় বা যাদের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তারা লাইভ পারফর্ম করে থাকে। লাইভলির মাধ্যমে যেভাবে আয় করা যায় সেটা হল। টিক টকে টাকার বিনিময়ে একধরণের কয়েন বিক্রি করা হয়। ০.৯৯ ডলারের বিনিময়ে ১০০ টি কয়েন পাওয়া যায়। আর এই কয়েন দিয়ে কিছু ইমোজি নিতে হয়। ইমোজি নিয়ে সেটা পছন্দের কোন পারফর্মেন্স কে পাঠানো যায়।আর আপনার মনে যদি প্রশ্ন আসে আমি কেনই বা কয়েন আর এসব ইমোজি কিনতে যাব? আসলে আমরা সবাই চাই আমাদের পছন্দের মানুষ বা যাদের আমরা ফলো করি তাদের একটু নজরে আসতে, যেন তারা বুঝতে পারে আমরা তাদের ফলো করি। আর আপনি যখন আপনার পছন্দের মানুষকে এই ইমোজিগুলো পাঠাবেন সে অবশই আপনার নাম দেখবে এবং আপনাকে নটিস করবে। সেই আশায় অনেকে ইমোজি কিনে তাদের পছন্দের মানুষের কাছে পাঠায়। সেই ইমোজিগুলো যারা পারফর্মেন্স করে তারা সংগ্রহ করে সেগুলোর বিনিময়ের ক্যাশ টাকা আয় করতে পারে। আবার সেই টাকার ৫০ পার্সেন্ট পায় মিউজাররা আর ৩০ পার্সেন্ট পায় অ্যপল এবং ২০ পার্সেন্ট পায় টিক টক ।

ইউনিক কন্টেস্ট:

আপনি যদি টিক টক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চার্চ বারের নিচে হ্যাশট্যাগ দেওয়া কিছু কন্টেস্ট দেখতে পাবেন, যেখানে একটি হ্যাশট্যাগ দেওয়া কন্টেস্টের মধ্যে একি কন্টেস্টে অনেকজনের ভিডিও রয়েছে। আসলে সেই হ্যাশট্যাগ দেওয়া কন্টেস্ট প্রথমে একজনেই তৈরি করেছিল। এরপর সেই কন্টেস্ট যদি মানুষের পছন্দ হয়ে যায় বা আরো অনেকে একি কন্টেস্টে ভিডিও বানাতে থাকে তখন সেই কন্টেস্ট হ্যাশট্যাগযুক্ত হয়ে যায়। আর আপনি যদি কোন কন্টেস্ট তৈরি করেন সেটা যদি ভাইরাল হয়ে যায় বা সেই কন্টেস্টে আরো অনেকে ভিডিও বানাতে থাকে তাহলে আপনার ভিডিও হ্যাশট্যাগযুক্ত হয়ে গেলে টিক টক আপনাকে একটা অ্যামাউন্ট দিবে।

স্পন্সরশীপ:

স্পন্সরশীপের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। টিক টকে যখন আপনার অনেক পলোয়ার হয়ে যায়, আপনার ভিডিও যখন সবাই পছন্দ করতে থাকে। তাহলে কোন বড় ব্র্যান্ড আপনাকে অফার করতে পারে যে, আপনি যেন আপনার ভিডিওতে তদের পণ্য নিয়ে ভিডিও বানান। বিনিয়ে আপনাকে তারা অর্থ দিবে। এরকম স্পন্সরশীপ করেও টিক টক এ টাকা আয় করা যায়।

ক্রাউন অর্জন:

টিক টকে যখন আপনার ১ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার হয়ে যাবে, তখন টিক টক আপনার প্রোফাইলে একটি ক্রাউন যোগ করে দিবে। আর আপনি যদি সেই ক্রাউন অর্জন করতে পারেন, তখন টিক টক আপনাকে নানা রকম দামী কোন উপহার পাঠিয়ে দিবে।

Sunday, October 28, 2018

টিক টক এবং মিউজিকালি এর খুটিনাটি


                              

আপনি যদি এই আর্টিকেল পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় আপনার টিক টক অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা আছে। তাহলে চলুন আজকে জেনে নিই টিক টক অ্যাপ্লিকেশনের কুটিনাটি।

টিক টকের উৎপত্তি:

২০১৪ সালে ALEX নামের একটি চাইনিজ কম্পানি মিউজিকালি নামের এই ভিডিও শেয়ারিং সফ্টওয়ারটি তৈরি করেছিল। মিউজিকালির ডুয়াইন নামে আরেকটি নাম ছিল। ২০১৬ সেপ্টেম্বরে BITEDANCE নামের একটি প্রতিষ্ঠান এলেক্সের কাছে এই অ্যাপ্লিকেশটা কিনে নিতে চাইছিল। কিন্তু এলেক্স সেটা বিক্রি করেনি। শেষে ২০১৭ অক্টোবরে ALEX এবং BITEDANCE মিলে এই অ্যপটির নাম মিউজিকালি থেকে বদলে টিক টক হিসেবে বাজারে নিয়ে আসে।

টিক টক কি?

টিক টক হচ্ছে একটি ভিডিও শেয়ারিং স্মার্টফোন সফ্টওয়ার যেখানে ইউজাররা ভিডিও তৈরি করে এবং শেয়ার করে। এটিও ফেইসবুক, টুইটার ইন্সটাগ্রাম এবং আরো অন্যান্য সোসিয়াল মিডিয়ার মতই কাজ করে। বর্তমানে প্রায় ২০০শ মিলিয়নের মত লোক টিক টক ব্যবহার করে থাকে। যার প্রায় ৭০ পার্সেন্ট মেয়ে। এবং প্রতিদিন টিক টক এ ১২ মিলিয়নের বেশি ভিডিও শেয়ার হয়। খুব দ্রুত মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়া সফ্টওয়ারের মধ্যে টিক টক অন্যতম।

কিভাবে ব্যবহার করবেন?



আপনি যখন একবার এই অ্যাপটি ডাউনলোড করবেন, অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়াও আপনি ভিডিও দেখতে পারবেন। কিন্তু আপনার যখন কারো ভিডিও পছন্দ হবে তাকে ফলো করতে বা তার ভিডিওতে লাইক দিতে আপনার অ্যাকাউন্ট করতে হবে। আর অ্যাকাউন্ট খোললে আপনি আপনার নিজের ভিডিও শেয়ার করতে পরবেন। অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে আপনি সেই অ্যাপের মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে নানা রকম এফেক্ট ফিল্টার যোগ করতে পারবেন।

কি ধরণের ভিডিও শেয়ার করা যায়?

প্রথম প্রথম টিক টকে সাধারণত লিপসিংকিং করা হত। লিপ সিংক বলতে কোন জনপ্রিয় গানের সাথে নিজের ঠোট মিলানো। প্রথমে ইউজাররা এরকম জনপ্রিয় কিছু গানের সাথে নিজের ঠোট মিলিয়ে ভিডিও বানাতো। এখন আস্তে আস্তে আরো নানা রকম ভিডিও বানানো হচ্ছে। যেমন, কোন মুভির ডায়লগের সাথে ঠোট মিলেয়ে অভিনয় করে ভিডিও শেয়ার করে, এবং নিজের কন্ঠে নিজইে অভিনয় করে ভিডিও শেয়ার করতে দেখা যায় বা চলার পথে কোন ঘটনা ঘটে যাওয়াকে ক্যাপচার করে ভিডিও শেয়ার করতে দেখা যায়। বলতে গেলে ইউটিউবে যেরকম ভিডিও শেয়ার করা হয় টিক টকেও সেরকম ভিডিও শেয়ার করা যায়। তবে ইউটিউবে যেরকম ভিডিওর স্থিতিকালের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই টিক টকের বেলায় ভিডিওর স্থিতিকালের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। প্রথম প্রথম টিক টকে ১৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট পর্যন্ত ভিডিওর স্থিতিকাল ছিল। তার মানে ১ মিনিটের বেশি সময়ের কোন ভিডিও শেয়ার করা যেতনা। এখন সেই স্থিতিকাল বাড়িয়ে সাড়ে তিন মিনিট করা হয়েছে। একেত্রে সোযোগ হল, ইটিউবে যেমন বেশিক্ষণ ভিডিও দেখতে দেখতে একটা বোরিং ভাব এসে যায়, টিক টকের বেলায় সেটা হয়না।

কি ধরণের ইউজার রয়েছে?

টিক টক সাধারণত টিন এজারদের টার্গেট করেই বানানো। ১৪ থেকে ২১ বছর আশেপাশের বয়সের ইউজাররা টিক টক ব্যবহার করে থাকে। সাধারণত যারা পড়ালেখা করছে তাদের বিনোদনের জন্য টিক টক একটা দারুণ মাধ্যম। আপনি একবার টিক টকে ঢুকলে সময় কোন দিকে শেষ হয়ে যাবে খেয়াল করতে পারবেন না।  তবে টিক টক ইউজারের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। আর প্রত্যেক বয়সি মানুষেরি কিছু সময় বিনোদনের প্রয়োজন হয়। একবার আপনি ব্যবহার করে দেখুন আপনিও হয়ত বিনোদিত হতে পারেন।

Saturday, October 20, 2018

লগো কত প্রকার ও কি কি?

লগো হচ্ছে একটা ব্যবসায়ের অঙ্গ। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বৈশিষ্ঠের মধ্যে লগোও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ঠ। যদিও এটি অতি ক্ষুদ্র একটি বৈশিষ্ঠ, কিন্তু একটি লগো আপনার ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য আনেক ক্ষেত্রে দায়ী। লগো আমদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। আপনি ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা করতে গেলে লগো চোখে পড়ে, আপনার গাড়িতে লগো, অফিসের কম্পিউটারে লগো। বলতে গেলে লগো আমাদের আশপাশটা দখল করে নিয়েছে। এবং আমাদের চারপাশে এক এক লগো এক এক রকম। কিন্তু সবলগোই কোন ছবি এবং বর্ণ এবং কোন শেইফ এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। প্রত্যেক লগো আপনাকে আলাদা উপলদ্বি দিবে।

আমাদের আশেপাশের সমস্ত লগোকে গঠনগত দিক দিয়ে ৭  ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি লগোর আলাদা সুবিধা বা অসুবিধা রয়েছে। তাই আপনার ব্যবসায়ের শুরুতে আপনি কোন ধরণের লগো আপনার ব্যবসায়ের জন্য ঠিক করবেন সেটা ভেবে নেওয়া জরুরী। নিচে ৭ প্রকার লগোর নাম ও তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
১. ওয়ার্ডমার্ক
২. লেটারমার্ক
৩. পিক্টোরিয়াল মার্ক
৪. অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক
৫. ম্যাসকট
৬. কম্বিনেশন মার্ক
৭. অ্যাম্বলেম

ওয়ার্ডমার্ক:


                       

 এধরণের লগো শুধু মাত্র একটি ব্যবসায়ের নামের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়। যেমন: google, cocacola এরকম আরো অনেক লগো রয়েছে যেগুলো কোম্পানির নামে ডিজাইন করা। এই লগোর প্রধান উদ্দেশ্য হল কোম্পানির নামকে ব্র্যান্ড করা। ওয়ার্ডমার্ক লগোতে কোন প্রতীক বা কোন গ্রাফিক নিদর্শণ দেখা যায়না। শুধু মাত্র ফন্ট এবং কালার দিয়েই এই লগো ডিজাইন করা হয়। কোন কম্পানির সংক্ষিপ্ত এবং সতন্ত্র নামের সাথে এই ধরণের লগো ভাল মানায়। ওয়ার্ডমার্ক লগো নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য যদি কাস্টমারের কাছে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে চান। তবে কিছু শর্ত মেনে ওয়ার্ডমার্ক লগো ব্যবাহার করা দরকার। ওয়ার্ডমার্ক লগো ব্যবহার করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম ছোট হওয়া জরুরী। যাতে লগো ডিজাইনিংয়ে সুবিধা হয়। এবং কম্পানির নাম যেন ইউনিক হয়, যাতে কম্পানির নাম মানুষের মনে একি ধরণের কোম্পানি সম্পর্কে যে ধারণা রয়েছে সেটা বদলে দিতে পারে।

লেটারমার্ক:



একটি লেটারমর্ক লগোতে সাধারণত এক থেকে চারটা অক্ষর বা বর্ণ থাকে, যেগুলো কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর। এধরণের লগো সংক্ষিপ্ত হয়। কোন ছবি বা শেইফ এসব লগোতে ব্যবহার করা হয়না। শুধুমাত্র টেক্সট এবং ফন্ট এর উপর ভিত্তি করে এই লগো ডিজাইন করা হয়। লেটারমার্ক লগো হচ্ছে টাইফোগ্রাফি ভিত্তিক লগো। যখন একটি কোম্পানির নাম বড় হয় সেই কম্পানির নামের প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়েই লেটারমার্ক লগো বানানো হয়। যেমন:-National Aeronautics And Space Administration  এই নামের যদি কোন লগো হয় তাহলে খুব অদ্ভুত দেখাবে। আর এটাকে NASA লিখার ফলে একটা মানানসই ডিজাইন করা হয়েছে। লেটারমার্ক হচ্ছে একটা বাক্যের যেটা একটি কোম্পানির নাম সেটার সংক্ষিপ্ত রুপ। লেটারমার্ক লগো দেখতে এবং উচ্চারণগত দিক দিয়ে অনেকটা অন্যান্য লগোর চাইতে সহজ হয়।

পিক্টোরিয়াল মার্ক:



পিক্টোরিয়াল মার্ক লগো হচ্ছে একটি প্রতীক যেটা গ্রাফিক ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এধরণের লগোতে কোন রকম লিখা বা কোম্পানির নাম থাকেনা। গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে কয়েকটা শেইফকে ব্যবহার করে একটি ছবি বা প্রতীক দাড় করানো হয়। পিক্টোরিয়াল মার্ক লগো সাধারণত নতুন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে খুব একটা ব্যবহার করা হয়না। কারণ এই লগোতে কোম্পানির নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়। পিক্টোরিয়াল মার্ক লগোর দ্বারা কাস্টমারদের বার্তা দেওয়া হয় কোম্পানির কেমন পন্য বাজারে রয়েছে । পিক্টোরিয়াল মার্ক লগো কাস্টমার দেখলে কোম্পানির পন্য সম্পর্কে কাস্টমারের মনে ধারণা চলে আসে। তবে নতুন কোম্পানির বেলাই সেটা ঘটেনা।

অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক:



অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক প্রায় পিক্টোরিয়াল লগোর মতই। এটিও গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যেমে বিভিন্ন শেইফ ব্যবাহার করে  তৈরি করা হয়। এধরণের লগো গোলাকার, ত্রিভুজাকার, চতুর্ভুজাকার বা কোন লাইন, যেকোন শেইফের হতে পারে। অ্যাবস্ট্রাক্ট লগোতে শেইফের ডানে, বামে, উপরে, নিচে কোন লেখা বা কোম্পানির নাম দেওয়া যায়। আর অ্যাবস্ট্রাক্ট লগোর একটির সাথে সাথে মিল রেখে একি কোম্পানির আরো দু-একটি লগো ডিজাইন করে বাজারে প্রকাশ করা হয়। অ্যাবস্ট্রাক্ট লগোর সুবিধা হচ্ছে একবার যদি কম্পোনির লগো বাজারে পরিচিতি পায়, তাহলে সেই লগোর একি শেইফের লগো মানুষের চোখে পড়লেও তারা চিনতে পারে।


ম্যাসকট:



ম্যাসকট শব্দটা শোনতেই যেন মনে কোন কার্টুনের ছবি বা ফানি কিছু মনে আসে। ম্যাসকট লগো বিভিন্ন কালার দ্বারা কিছুটা কার্টুনিশ, এবং কোন ফানি শেইফ বা ছবি যোগ করে লগো ডিজাইন করা করা হয়। ম্যাসকট লগো শিশু বা ফ্যামেলিকে টার্গেট করে ডিজাইন করা হয়। ম্যাসকট লগো খেলাধুলার পণ্যতেও ব্যবহার করা হয়।

কম্বিনেশন মার্ক:



ওয়ার্ডমার্ক, লেটারমার্ক, পিক্টোরিয়াল মার্ক, অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক, এবং ম্যাসকট লগোর সমন্বয়ে একটি কম্বিনেশন মার্ক লগো তৈরি করা হয়। কম্বিনেশন মার্ক লগো হল কোন ছবি বা পণ্যের সমন্বয়। কম্বিনেশন মার্ক লগো হল এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় লগো। নতুন কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কম্বিনেশন  মার্ক লগো খুব জনপ্রিয়। কারণ কম্বিনেশন মার্ক লগোতে ওয়ার্ড ব্যবহার করে কোম্পানির নাম এবং শেইফ ব্যবহার করে কোম্পানির একটা প্রতীক দাড় করনো যায়। যেমন বার্গার কিং থেকে যদি বার্গার কিং নামটা ফেলে দেওয়া হয় তারপরও মানুষ এটাকে বার্গার কিংয়ের লগো হিসেবেই বুঝে নেবে। ঠিক একিভাবে যদি বার্গারের ছবিটাও তুলে ফেলা হয় তারপরও বার্গার কিং নামেই মানুষ চিনে নিবে।

অ্যাম্বলেম:



অ্যাম্বলেম লগো হচ্ছে লগো ডিজাইনের সবচেয়ে পুরোনো সংস্করণ। প্রথম প্রথম যখন লগো ডিজাইন ব্যপারটা মানুষের মনে আসে তখন এই অ্যাম্বলেম জাতীয় লগো দিয়েই লগো ডিজাইন শুরু হয়। অ্যাম্বলেম জাতীয় লগো গুলো কিছু লেখাকে ডিজাইন করে একটা শেইফ তৈরী করা হয়। সাধরণত অ্যাম্বলেম লগো কোন পুরোনো বা ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অ্যাম্বলেম লগো খুব একটা দেখা যায়না। অ্যাম্বলেম লগোতে একটি অসুবিধা হল যখন এই লগো ছোট করা হয়, তখন লগোটা বুঝা যায়না। লগোর লিখাগুলো পড়তে অসুবিধা হয়। যদি কোন কোম্পানির  ওয়েবসাইটের ফেব আইকন হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেখানে অ্যাম্বলেম লগো বেমানান দেখায়। অ্যম্বলেম সাধারণত সিল এবং ক্রেস্টে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। তাছাড়া অ্যাম্বলেম লগো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়।





Sunday, September 30, 2018

বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং আবেগ



একজন গতানুগতিক দর্শকের মত করে গত এশিয়া কাপ ফাইনালের কথা যদি বলি। প্রথমেই আমার কান্না দিয়েই শুরু করতে হয়। যেহেতু পুরুষ, কান্নাটা আমাদের জন্য একটা ট্যাবু। গত দুই দিন ধরে বাংলার টাইগারদের খেলা নিয়ে সোসাল মিডিয়াই যে হা হুতাশ শুরু হয়েছে সেটা আমায় বড্ড পুড়াচ্ছে। ইন্ডিয়াকে একটুর জন্য হারাতে না পারার পাহাড় সমান দু:খ নিয়ে আশেপাশের নদীতে ত আর জায়গা হবেনা, তাই সমুদ্রে ডুবলেই যেন বাচে। কিন্তু এই দু:খ আমাদের কতদিন মনে থাকে এবং দু:খ করাটাই বা কি অর্থ বহন করে আমার বুঝতে সময় খরচা হয়। আর বিশটা রান হলে জিতে যেতাম, লিটনের আউটটা না দিলে আমাদের স্কোর বোর্ডে আরো বিশ ত্রিশটা রান যোগ হত এরকম আরো একশটা কারণ দেখিয়ে যখন আমরা আড্ডাটা জমিয়ে তুলি, তখন আমাদের মাথায় থাকেনা আমাদের বিপক্ষ দল ইন্ডিয়া। যারা আইসিসি রেংকিংয়ে দুই নাম্বারে দাড়িয়ে আছে। এরপরও আপনার যদি মনে হয় বাংলাদেশ যেকোন দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে। তাহলে আমার একটা অবজ্ঞার হাসি হাসতেই হয়। হ্যা, হারানো যায়, তবে সেটা অ্যাক্সিডেন্টলি, আমি আবার বলছি সেটা এক্সিডেন্টলি। যেরকমটা ২০০৭ সালে হয়েছিল। এখানে বাংলাদেশের মাঠিতে ইন্ডিয়ার সিরিজ হারার বিষয়টা টানবেন না প্লিজ। ঘরের মাঠের খেলা দিয়ে বাংলাদেশের খেলাকে বিচার করলে আমরা এতদিনে বিশ্বকাপ কেন পেলাম না সেটা নিয়েও একটা নতুন দু:খ যোগ করতে হবে। বরং এশিয়া কাপ নিয়ে চিন্তা করা যাক। আসেন তাহলে বলি আমার কেন মনে হচ্ছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়াকে হারিয়ে অন্তত এই এশিয়া কাপটা ডিজার্ব করেনা। গত এশিয়া কাপে বাংলাদেশ একাদশ আর ইন্ডিয়া একাদশ নিয়ে তুলনা করলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি এক নম্বারে বাংলাদেশের প্রথম সারি কোন খেলোয়াড়কে বসানো হয় এর পর আরেকজন কে এরপর অন্যজনকে এভাবে সমস্ত এগারজনকে বসায় এবং তার পাশে ইন্ডিয়ার এগারজন একি নিয়মে বসায়। ধরেন বাংলাদেশের এখানে এক নাম্বারে বসালাম মুশফিককে। ইন্ডিয়ার কে? হ্যা সত্যিই ধরেছেন, রহিত। এদের দুজনের মধ্যে কে এগিয়ে থাকবে? যদি আপনি ক্রিকেট দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই রহিতের নামটা আসবে। এরপর বাংলাদেশের দুই নাম্বারে কাকে বসানো যায়? মাথায় আসছেনা ত? তাহলে মাহমুদুল্লাহকে বসানো যাক। ইন্ডিয়ার ধনি। কাকে এগিয়ে রাখবেন ধনি না মাহমুদুল্লাহ? এরপর সৌমকে বসায় তার বিপরিত পাশে বসায় শেখর ধাওয়ান। এদের মধ্যে কে চোখে পড়বে? এবার লিটন দাশকে আনা যাক। তার পাশে দিনেশ কার্তিক। ইমরুল কায়েস। পাশে এম্বতি রাইডু। মিতুন এর পাশে কাদের জাদাব। মেহেদি হাসানের পাশে জাজেদাকে বসান। মাশফির আর ভোবনেশ্বর এর মধ্যে মাশরাফিকে এগিয়ে রাখি। আর মোস্তাফিজ এবং ভোমরার মধ্যে মোস্তাফিজকেও এগিয়ে রাখা যাক। কিন্তু এরপর কোলদিপ ইয়াদব এর পাশে রুবেলকে বা সালাহ এর পাশে নাজমুল অপুকে সমান ভাবতে পারবেন না। তাহলে এবার বলেন কাপটা কারা ডিজার্ব করে? বিশ্বাস করুন বাংলাদেশ একটা ট্রপি জিতুক সেটা আমিও চাই। কিন্তু একটা জায়গায় এসে বাংলাদেশের ব্যর্থতাটাই বেশি দৃশ্যমান হয়ে উঠে। যেমন, যে ভাল খেলছে তার উপর সমস্ত ম্যাচের দায়ভার তুলে দেওয়াটা বাংলাদেশের এক ঐতিহ্যগত অভ্যাস। আমি কখনো দেখিনি একটা ভাল ঝুটি করার পর যদি সেটা মাঝপথে এসে ভেঙ্গে যায়, নতুন একটা ঝুটি বাংলাদেশ কখনো করতে পেরেছে। আর ম্যাচের শেষের ধিকে এসে যখন ফাস্ট বোলাররা বল করতে আসে তারা বুঝতে পারেনা কিভাবে বলটা করা উচিত। প্রত্যেক ভাল ভাল দলের বলাররা শেষের দিখে এসে তাদের প্রত্যেকটা বল ডেলিভারি থাকে ব্লকহোলে। আমার আশ্চার্য লেগেছে সেদিন দেখতেছি আফগানিস্থানের বলাররাও  ম্যাছের শেষের দিকে একিভাবে ব্লকহোলে বল করা শিখে গেছে। অথচ এই বিষয়টা বাংলদেশের কোন বলাররাই করতে পারেনা। আর সবচেয়ে যেটা আমাদের ভোগাচ্ছে সেটা হল নতুন খেলোয়াড়রা। গত পাঁচ বছর ধরে যত নতুন খেলোয়াড় বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েছে কেউ দলে একটা নির্দিষ্ট স্থান করে নিতে পারেনি। আজকে এ খেললে কাল ও পরশু অন্যজন এভাবেই চলছে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? অন্যান্য দেশে যেখানে নতুনদের দলে যায়গা দেওয়ার জন্য অনেক পুরাতন খেলোয়াড়দের যায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশে এসে যদিওবা পুরাতন কাউকে সরিয়ে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হয়। দু এক ম্যাচ পরে আবার সেই যায়গায় পুরাতন কাউকে নিয়ে আসতে হয়। আর বিসিবির রাজনীতির কথা নাহয় এড়িয়ে যাওয়া যাক। এই সবকিছুর পরেও আমারা একটা জয়ের আশা নিয়েই টিভি বা মাঠের দিকে চেয়ে থাকি। আমরা আশায় আছি সেই আশা যেন পূর্ণ হয়।
facbook

Tuesday, September 25, 2018

লগো কি? কেন ব্যবহার করা হয়?

ডিজাইন কি?

আক্ষরিক অর্থে লগো হল একটি প্রতীক। অন্যভাবে বলতে গেলে লগো হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বহন করে। লগো বিহিন একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চেহার বিহীন মানুষের মত। লগো বলতে গেলে একটি প্রতিষ্ঠানের চেহারা।

লগোর প্রয়োজনীয়তা:

লগো হচ্ছে একটি কম্পানির প্রাথমিক ছাপ। একটি দেশের পতাকা যেমন সেই দেশকে চেনায় একটি লগোও একটি প্রতিষ্ঠানকে চেনায়। একটি প্রতিষ্ঠানে লগো বিরাট ভূমিকা পালন করে। এবং লগোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এই প্রভাবটা নির্ভর করে লগোটা কিভাবে ব্যবহার হচ্ছো সেটার উপর।

লগোর উদ্দেশ্য:

যদি আপনি আপনার চারপাশে থাকান কমপক্ষে দশটি লগো আপনার চোখে পড়বে। লগো আমাদের চারপাশটা ঘিরে রয়েছে এবং আমাদের পরিবেশে স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু একটি লগোর উদ্দেশ্য কি? এটি আসলে একজন লগো ডিজাইনার এবং কোম্পানির মালিককে বুঝতে হবে। লগোর কাজ হচ্ছে একটা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানকে সনাক্ত করা বা মানুষের কাছে পরিচিত করা। এর আগে লগো সম্পর্কে আপনি যাই শোনেন না কেন, সনাক্তকরণই হল একটি লগোর মূল কাজ। একটি প্রতিষ্ঠানের ধরণ পরিবর্তনের সাথে সাথে লগোর ও পরিবর্তন হয়। যেমন এপল এর লগো প্রথমে এক সাইডে কাটা আপেল  ছিলনা। নিচে  এপল এর পুরাতন লগো দেওয়া হল








 যাই হোক, সব কথার এক কথা হল একটি লগোর উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন মানুষ, পন্য এবং ব্যবসায়ের সনাক্তকারী প্রতীক।

একটি লগোর গোপন বার্তা বহন করার দারকার পড়েনা:

একটি লগোর মধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের গোপন বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। লগোর মূল কাজ একটি প্রতিষ্ঠানকে মানুষের কাছে তুলে ধরা। একটি নতুন লগো খালি বদনার মত। যার বেতর সবটাই খালি। যদিও লগোটি দেখতে সুন্দর হক না কেন? সময়ের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের সুনামের সাথে সাথে লগোটা মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠে।

লগো কেন প্রয়োজন?

লগো হচ্ছে একটি ব্যবসা বা পণ্যের চেহারা হিসেবে কাজ করে। যখন কেউ কোন ব্যবসা করবে বলে ভাবে। তখন তার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী সে একটি লগো মনে মনে তৈরি করে নেয়। একটি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ যতটা গুরুত্বপূর্ণ লগো তার চেয়ে কম যায়না। লগো একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি সহজ করে একটি ভাল মানের লগো মানুষের মনে স্মরনীয় হয়ে থাকে। সেই লগোর মাধ্যমে সহজেই প্রতিষ্ঠানটি চিনতে পারে। তার মানে ব্যবসায়ীক পরিবেশে লগো সেই ব্যবসাকে মানুষের কাছে তুলে ধরে। এবং মানুষের উক্ত ব্যবসার সাথে যোগাযোগ বাড়ে।

Saturday, September 22, 2018

ডিজাইন কি? ডিজাইনের পরিচিতি

ডিজাইন কি?

বলতে গেলে ডিজাইন আমাদের প্রতিটি পদে পদেই লক্ষনীয়। আমাদের চারপাশে ডিজাইন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা যে বাড়িতে বসবাস করি সেটাও একটা ডিজাইন। যেই খাটে শুই সেটাও একটা ডিজাইন। যেই থালায় ভাত খাই সেটাও একটা ডিজাইন। বলতে গেলে ডিজাইন এবং মানুষের জীবন একটি অন্যটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ডিজাইনের সজ্ঞা:

ডিজাইন হল একটি প্রক্রিয়া, যা কল্পনা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে সৃষ্ট বস্তু। যেটা একদল নির্দিষ্ট কাস্টমারের প্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়।

ডিজাইন নিয়ে ভুল ধারণা:

ডিজাইন শুধুমাত্র কালার, ফন্ট, ছবি বা কোন লেআউট নয় যেটা ডিজাইনার তৈরি করে। বর্তমানে ডিজাইন নিয়ে আামাদের চারদিকে নানা রকম ভুল ধারণা ছড়িয়ে আছে। কিন্তু আসলে এর মূলে কি রয়েছে, এটা কি শুধুই দেখতে চাকচিক্ক হলেই যথেষ্ট? ডিজাইনের প্রধান বৈশিষ্ট হল ভোক্তাদের (কাস্টমার) সাথে ডিজাইনের মাধ্যমে যেগাযোগ স্থাপন করা। আসল ডিজাইন হল একটা সমস্য সামাধানের প্রক্রিয়া।

ডিজাইন শিল্প নাকি বিজ্ঞান?

ডিজাইনকে পুরোপুরি শিল্প ও বলা যায় না আবার বিজ্ঞান ও বলা যায়না। শিল্প হল সৃষ্টিকর্তার কল্পনা আর বিজ্ঞান হল বাস্তবতা। কল্পনা আর বাস্তবতা দুটোর সমন্বেয়ে ডিজাইন সৃষ্টি হয়।

ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিজাইনার:

নিয়ম অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সজ্ঞায়িত বিষয়। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়াবলী মেনে চলতে হয়। যেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। পরীক্ষা গবেষণা আরো নানা কিছুর মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ব হয়। এসব ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার বলা যায়না। বলতে গেলে ইঞ্জনিয়ারিং হচ্ছে একটি পরিচিত প্রতিষ্ঠিত বিষয়। যেটা ম্যাকানিকাল, ক্যামিকাল, সিভিল এবং ইলেট্রিকাল হতে পারে। কিন্তু ডিজাইন এবং ডিজাইনার হচ্ছে অন্য বিষয়। হ্যা, ডিজাইনিংয়ে ও ডিগ্রী রয়েছে। অনেক ডিজাইনার রয়েছে যারা নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে সনদপ্রাপ্ত। কিন্তু বেশিরভাগ ডিজাইনে ডিগ্রী এবং সনদ তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না।

স্থাপত্য হচ্ছে লক্ষনীয় ব্যতিক্রম, যেটার সাজসজ্জার সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এর মিল রয়েছে। কিন্তু ডিজাইনের অন্য দিক লক্ষ করলে যেমন, গ্রাফিক ডিজাইন, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, টাইপোগ্রাফি এবং আরো কিছু ডিজাইনে ডিগ্রী এবং সনদের দরকার পড়ে না।

ডিজাইন কত প্রকার:

ডিজাইন হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট চিন্তা অনুসরণ করে সেই চিন্তা সামাধানের প্রক্রিয়া। সেই সামাধান হতে পারে কোন প্রোডাক্ট, ফার্নিচার, মেশিন, সিস্টেম, ওয়েবসাইট, তথ্য, ব্র্যান্ড, লগো, গ্রাফিক, পোস্টার, মুভি, বিজ্ঞাপন, আর্ট ইত্যাদি। এতগুলোর মধ্যে ডিজাইনকে একটি বিষয় নিয়ে সজ্ঞায়িত করা কঠিন হয়ে দাড়ায়। তাই কিছু ডিজাইনের নাম উল্লেখ করছি যেগুলো ডিজাইনের আওতায় পড়ে এবং এসব ডিজাইনের সাথে আামর পরিচিত।

আর্কিটেকচার ডিজাইন, অটোমেটিক ডিজাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, ফিল্ম ও ভিডিও ডিজাইন, ফার্নিচার ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, ইন্ডষ্ট্রিয়াল ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, প্রোডক্ট ডিজাইন, সফটোয়ার ডিজাইন, সাউন্ড ডিজাইন এবং অন্যান্য।

Saturday, September 15, 2018

মুভি রিভিউ কি? কিভাবে মুভি রিভিউ লিখবেন?



মুভি হচ্ছে আমাদের সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেটা আমরা দেখি, যেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করি এবং যেটা আমরা ভালবাসি। তবে যেমন তেমন মুভি নয়। যে মুভি কোন সামাজিক বার্তা বহন করেনা, যে মুভি দ্বারা মানুষের মনে নতুন চিন্তার উদ্ভব হয়না যেসব মুভিকে একটি সমাজের অংশ বলা য়ায়না।

মুভি রিভিউ কি: সাধারনত মুভি রিভিউ বলতে আমরা বুঝি একটা মুভি সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব ধারনা। যেটা পড়ে একজন একজন পাঠক একটা সিদ্ধান্তে দাড়াই যে, আসলে মুভিটা তার দেখা উচিত নাকি উচিত না।

কেন মুভি রিভিউ লিখব: একটা মুভি একটি সমাজে নানানভাবে নানারকম প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রাখে। সেটা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক। একটি মুভি যখন সমাজে খারাপ বার্তা বহন করবে তখন একটা মুভি রিভিউর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি মুভিটা আসলে দেখা উচিত নাকি উচিত না। ঠিক একটা ভাল মুভির রিভিউ ও আমাদের সেই মুভি দেখার  বা না দেখার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। বলতে গেলে মুভি রিভিউ লিখাটা আমাদের একটা সামাজিক দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে।

এখন আসা যাক মুভি রিভিউ আমরা কিভাবে লিখব। এটা সত্য যে, নতুন মুভি রিভিউ লেখকদের কাছে সুন্দর এবং সুস্পষ্ট রিভিউ লেখা একটু কঠিন হয়ে দাড়ায়। তবে নিয়মিত লেখার মাধ্যমে আস্তে আস্তে ভাল রিভিউ লেখা সম্ভব। মুভি রিভিউ লেখাটাও কোন স্কুল বা কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট লেখার মত। যেটার জন্য সময় এবং পড়ালেখা দুটাই দরকার। মুভি রিভিউ মানে এই না যে, স্ক্রিনে যা দেখলাম তাই লিখে দিলাম।

নিচে মুভি রিভিউ লেখার কিছু প্রাথমিক ধারণা উল্লেখ করা হল।

মুভিটা একাধিকবার দেখুন:  কমপক্ষে দুইবার মুভিটা দেখুন। একবার দেখে মুভির রিভিউ লিখতে বসে গেলে আপনি অনেক কিছু মিস করবেন। কারণ প্রথমবার ছোট ছোট অনেক গুরুত্বপূূর্ণ বিষয় আপনার চোখ এড়াতে পারে।

মুভির পতি রিচিলিখুন: মুভির নাম, পরিচালকের নাম, প্রধান চরিত্রের অভিনেতা অভিনেত্রীর নাম, মুক্তির দিন। এরকম কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যুক্ত করুন।

গল্পের সারমর্ম লিখুন: সংক্ষেপে গল্পের সারমর্ম লিখুন। আপনার দু এক লাইন পড়ে পাঠকরা যেন গল্প সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে পারে।

মুভি নিয়ে আপনার মন্তব্য লিখুন: মুভি সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। যদি মুভিটা ভাল না লাগে তাহলে সেটাই লিখুন। কিন্ত ভাল না লাগার যুক্তি সংগত কারণ দেখান । ভাল লাগলেও একিভাবে লিখুন।

মুভির ধরণ সম্পর্কে লিখুন : মুভিটা কি আর দশটা মুভির মত পরের দৃশ্যে কি হবে তা ধরণা করা যায়, নাকি  মুভিতে কোন টুইস্ট রয়েছে সেই সম্পর্কে লিখুন ।

পরিচালক সম্পর্কে লিখুন : মুভির পরিচালক সম্পর্কে কিছু তথ্য লিখুন। সে কি কোন বিতর্কিত ডাইরেক্টর কিনা। তার বিগত মুভি গুলো দর্শকদরে মনে কিরকম সাড়া ফেলেছিল। আগের মুভিগুলোর চাইতে এই মুভিতে কিরকম পার্থক্য চোখে পড়েছে সেটা উলেøখ করুন। আগের মুভির চেয়ে এই মুভিটা ভাল কিনা সেটা উল্লেখ করুন।

অভিনেতা অভিনেত্রী সম্পর্কে লিখুন: অভিনেতা অভিনেত্রীর অভিনয় দৃশ্য সম্পর্কে লিখুন। অতীতের অভিনয় থেকে বর্তমানে অভিনয়ে কতটা উন্নতি করেছে। নতুন অভিনেতা অভিনেত্রী হলে তারা মুভির চরিত্রের সাথে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে। তদের অভিনয়ের কোন দৃশ্যটা আপনার ভাল লেগেছে বা কোনটা খারাপ সেটা উল্লেখ করুন।

মুভির কিছু দৃশ্য সম্পর্কে লিখুন: মুভির কোন দৃশ্য যদি আপনার ভাল লাগে, বা আপনি উপভোগ করে থাকেন তাহলে সেই দৃশ্যের বর্ণনা দিন। কোন গান বা ডাইলগ যেটা আপনাকে মুহিত করেছে সেটা লিখুন । পারলে গানের কয়েকটা লাইন লিখে দিন।

সিনেমাটোগ্রাফি সম্পর্কে লিখুন: পরিচালক তার পরিচালনায় কতটা দক্ষতা দেখাতে পেরেছে। মুভির লোকেশন, মিউজিক, ব্যাগ্রাউন্ড মিউজিক সম্পর্কে লিখুন।

উপসংহার লিখুন: সবমিলিয়ে মুভিটা আপনার কেমন লেগেছে। মুভিতে সামাজিক কোন বার্তা রয়েছে কিনা। পঠকরা মুভিটা দেখে কতটা বিনোদিত হবে সে সম্পর্কে নিজের মতামত লিখে শেষ করুন।