Monday, October 29, 2018

টিক টকের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়

যদি আপনি কিশোর হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আয় করার তেমন একটা পথ থাকেনা।১৫-৬০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওর মাধ্যমে যদি আপনি টাকা আয় করতে পারেন তাহলে আপনার কেমন লাগবে? টিক টক বিশ্বব্যপী একটি ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা ১৫-৬০ সেকেন্ডের ভিডিও দিয়ে আয় করতে পারবেন। ট্যালেন্টেড টিক টক ইউজাররা যারা মিউজার নামে পরিচিত তাদের এই অ্যাপের মাধ্যমে আয় করার নানা রকম পথ রয়েছে। তাহলে চলুন আজ আলোচনা করা যাক কিভাবে টিক টক বা মিউজিকালি (যদিও এখন মিউজিকালি নামটা পরিবর্তন করে টিক টক রাখা হয়েছে) দিয়ে আয় করা যায়।

লাইভলি:

লাইভলি হচ্ছে একটি টিক টক এর আরেকটি অংশ, যেখানে ফেইসবুক বা ইউটিউবের মত লাইভ পারফর্ম করা যায়। সাধারণত যেসব মিউজারেরা বেশি জনপ্রিয় বা যাদের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তারা লাইভ পারফর্ম করে থাকে। লাইভলির মাধ্যমে যেভাবে আয় করা যায় সেটা হল। টিক টকে টাকার বিনিময়ে একধরণের কয়েন বিক্রি করা হয়। ০.৯৯ ডলারের বিনিময়ে ১০০ টি কয়েন পাওয়া যায়। আর এই কয়েন দিয়ে কিছু ইমোজি নিতে হয়। ইমোজি নিয়ে সেটা পছন্দের কোন পারফর্মেন্স কে পাঠানো যায়।আর আপনার মনে যদি প্রশ্ন আসে আমি কেনই বা কয়েন আর এসব ইমোজি কিনতে যাব? আসলে আমরা সবাই চাই আমাদের পছন্দের মানুষ বা যাদের আমরা ফলো করি তাদের একটু নজরে আসতে, যেন তারা বুঝতে পারে আমরা তাদের ফলো করি। আর আপনি যখন আপনার পছন্দের মানুষকে এই ইমোজিগুলো পাঠাবেন সে অবশই আপনার নাম দেখবে এবং আপনাকে নটিস করবে। সেই আশায় অনেকে ইমোজি কিনে তাদের পছন্দের মানুষের কাছে পাঠায়। সেই ইমোজিগুলো যারা পারফর্মেন্স করে তারা সংগ্রহ করে সেগুলোর বিনিময়ের ক্যাশ টাকা আয় করতে পারে। আবার সেই টাকার ৫০ পার্সেন্ট পায় মিউজাররা আর ৩০ পার্সেন্ট পায় অ্যপল এবং ২০ পার্সেন্ট পায় টিক টক ।

ইউনিক কন্টেস্ট:

আপনি যদি টিক টক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চার্চ বারের নিচে হ্যাশট্যাগ দেওয়া কিছু কন্টেস্ট দেখতে পাবেন, যেখানে একটি হ্যাশট্যাগ দেওয়া কন্টেস্টের মধ্যে একি কন্টেস্টে অনেকজনের ভিডিও রয়েছে। আসলে সেই হ্যাশট্যাগ দেওয়া কন্টেস্ট প্রথমে একজনেই তৈরি করেছিল। এরপর সেই কন্টেস্ট যদি মানুষের পছন্দ হয়ে যায় বা আরো অনেকে একি কন্টেস্টে ভিডিও বানাতে থাকে তখন সেই কন্টেস্ট হ্যাশট্যাগযুক্ত হয়ে যায়। আর আপনি যদি কোন কন্টেস্ট তৈরি করেন সেটা যদি ভাইরাল হয়ে যায় বা সেই কন্টেস্টে আরো অনেকে ভিডিও বানাতে থাকে তাহলে আপনার ভিডিও হ্যাশট্যাগযুক্ত হয়ে গেলে টিক টক আপনাকে একটা অ্যামাউন্ট দিবে।

স্পন্সরশীপ:

স্পন্সরশীপের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। টিক টকে যখন আপনার অনেক পলোয়ার হয়ে যায়, আপনার ভিডিও যখন সবাই পছন্দ করতে থাকে। তাহলে কোন বড় ব্র্যান্ড আপনাকে অফার করতে পারে যে, আপনি যেন আপনার ভিডিওতে তদের পণ্য নিয়ে ভিডিও বানান। বিনিয়ে আপনাকে তারা অর্থ দিবে। এরকম স্পন্সরশীপ করেও টিক টক এ টাকা আয় করা যায়।

ক্রাউন অর্জন:

টিক টকে যখন আপনার ১ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার হয়ে যাবে, তখন টিক টক আপনার প্রোফাইলে একটি ক্রাউন যোগ করে দিবে। আর আপনি যদি সেই ক্রাউন অর্জন করতে পারেন, তখন টিক টক আপনাকে নানা রকম দামী কোন উপহার পাঠিয়ে দিবে।

Sunday, October 28, 2018

টিক টক এবং মিউজিকালি এর খুটিনাটি


                              

আপনি যদি এই আর্টিকেল পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় আপনার টিক টক অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা আছে। তাহলে চলুন আজকে জেনে নিই টিক টক অ্যাপ্লিকেশনের কুটিনাটি।

টিক টকের উৎপত্তি:

২০১৪ সালে ALEX নামের একটি চাইনিজ কম্পানি মিউজিকালি নামের এই ভিডিও শেয়ারিং সফ্টওয়ারটি তৈরি করেছিল। মিউজিকালির ডুয়াইন নামে আরেকটি নাম ছিল। ২০১৬ সেপ্টেম্বরে BITEDANCE নামের একটি প্রতিষ্ঠান এলেক্সের কাছে এই অ্যাপ্লিকেশটা কিনে নিতে চাইছিল। কিন্তু এলেক্স সেটা বিক্রি করেনি। শেষে ২০১৭ অক্টোবরে ALEX এবং BITEDANCE মিলে এই অ্যপটির নাম মিউজিকালি থেকে বদলে টিক টক হিসেবে বাজারে নিয়ে আসে।

টিক টক কি?

টিক টক হচ্ছে একটি ভিডিও শেয়ারিং স্মার্টফোন সফ্টওয়ার যেখানে ইউজাররা ভিডিও তৈরি করে এবং শেয়ার করে। এটিও ফেইসবুক, টুইটার ইন্সটাগ্রাম এবং আরো অন্যান্য সোসিয়াল মিডিয়ার মতই কাজ করে। বর্তমানে প্রায় ২০০শ মিলিয়নের মত লোক টিক টক ব্যবহার করে থাকে। যার প্রায় ৭০ পার্সেন্ট মেয়ে। এবং প্রতিদিন টিক টক এ ১২ মিলিয়নের বেশি ভিডিও শেয়ার হয়। খুব দ্রুত মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়া সফ্টওয়ারের মধ্যে টিক টক অন্যতম।

কিভাবে ব্যবহার করবেন?



আপনি যখন একবার এই অ্যাপটি ডাউনলোড করবেন, অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়াও আপনি ভিডিও দেখতে পারবেন। কিন্তু আপনার যখন কারো ভিডিও পছন্দ হবে তাকে ফলো করতে বা তার ভিডিওতে লাইক দিতে আপনার অ্যাকাউন্ট করতে হবে। আর অ্যাকাউন্ট খোললে আপনি আপনার নিজের ভিডিও শেয়ার করতে পরবেন। অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে আপনি সেই অ্যাপের মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে নানা রকম এফেক্ট ফিল্টার যোগ করতে পারবেন।

কি ধরণের ভিডিও শেয়ার করা যায়?

প্রথম প্রথম টিক টকে সাধারণত লিপসিংকিং করা হত। লিপ সিংক বলতে কোন জনপ্রিয় গানের সাথে নিজের ঠোট মিলানো। প্রথমে ইউজাররা এরকম জনপ্রিয় কিছু গানের সাথে নিজের ঠোট মিলিয়ে ভিডিও বানাতো। এখন আস্তে আস্তে আরো নানা রকম ভিডিও বানানো হচ্ছে। যেমন, কোন মুভির ডায়লগের সাথে ঠোট মিলেয়ে অভিনয় করে ভিডিও শেয়ার করে, এবং নিজের কন্ঠে নিজইে অভিনয় করে ভিডিও শেয়ার করতে দেখা যায় বা চলার পথে কোন ঘটনা ঘটে যাওয়াকে ক্যাপচার করে ভিডিও শেয়ার করতে দেখা যায়। বলতে গেলে ইউটিউবে যেরকম ভিডিও শেয়ার করা হয় টিক টকেও সেরকম ভিডিও শেয়ার করা যায়। তবে ইউটিউবে যেরকম ভিডিওর স্থিতিকালের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই টিক টকের বেলায় ভিডিওর স্থিতিকালের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। প্রথম প্রথম টিক টকে ১৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট পর্যন্ত ভিডিওর স্থিতিকাল ছিল। তার মানে ১ মিনিটের বেশি সময়ের কোন ভিডিও শেয়ার করা যেতনা। এখন সেই স্থিতিকাল বাড়িয়ে সাড়ে তিন মিনিট করা হয়েছে। একেত্রে সোযোগ হল, ইটিউবে যেমন বেশিক্ষণ ভিডিও দেখতে দেখতে একটা বোরিং ভাব এসে যায়, টিক টকের বেলায় সেটা হয়না।

কি ধরণের ইউজার রয়েছে?

টিক টক সাধারণত টিন এজারদের টার্গেট করেই বানানো। ১৪ থেকে ২১ বছর আশেপাশের বয়সের ইউজাররা টিক টক ব্যবহার করে থাকে। সাধারণত যারা পড়ালেখা করছে তাদের বিনোদনের জন্য টিক টক একটা দারুণ মাধ্যম। আপনি একবার টিক টকে ঢুকলে সময় কোন দিকে শেষ হয়ে যাবে খেয়াল করতে পারবেন না।  তবে টিক টক ইউজারের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। আর প্রত্যেক বয়সি মানুষেরি কিছু সময় বিনোদনের প্রয়োজন হয়। একবার আপনি ব্যবহার করে দেখুন আপনিও হয়ত বিনোদিত হতে পারেন।

Saturday, October 20, 2018

লগো কত প্রকার ও কি কি?

লগো হচ্ছে একটা ব্যবসায়ের অঙ্গ। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বৈশিষ্ঠের মধ্যে লগোও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ঠ। যদিও এটি অতি ক্ষুদ্র একটি বৈশিষ্ঠ, কিন্তু একটি লগো আপনার ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য আনেক ক্ষেত্রে দায়ী। লগো আমদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। আপনি ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা করতে গেলে লগো চোখে পড়ে, আপনার গাড়িতে লগো, অফিসের কম্পিউটারে লগো। বলতে গেলে লগো আমাদের আশপাশটা দখল করে নিয়েছে। এবং আমাদের চারপাশে এক এক লগো এক এক রকম। কিন্তু সবলগোই কোন ছবি এবং বর্ণ এবং কোন শেইফ এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। প্রত্যেক লগো আপনাকে আলাদা উপলদ্বি দিবে।

আমাদের আশেপাশের সমস্ত লগোকে গঠনগত দিক দিয়ে ৭  ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি লগোর আলাদা সুবিধা বা অসুবিধা রয়েছে। তাই আপনার ব্যবসায়ের শুরুতে আপনি কোন ধরণের লগো আপনার ব্যবসায়ের জন্য ঠিক করবেন সেটা ভেবে নেওয়া জরুরী। নিচে ৭ প্রকার লগোর নাম ও তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
১. ওয়ার্ডমার্ক
২. লেটারমার্ক
৩. পিক্টোরিয়াল মার্ক
৪. অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক
৫. ম্যাসকট
৬. কম্বিনেশন মার্ক
৭. অ্যাম্বলেম

ওয়ার্ডমার্ক:


                       

 এধরণের লগো শুধু মাত্র একটি ব্যবসায়ের নামের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়। যেমন: google, cocacola এরকম আরো অনেক লগো রয়েছে যেগুলো কোম্পানির নামে ডিজাইন করা। এই লগোর প্রধান উদ্দেশ্য হল কোম্পানির নামকে ব্র্যান্ড করা। ওয়ার্ডমার্ক লগোতে কোন প্রতীক বা কোন গ্রাফিক নিদর্শণ দেখা যায়না। শুধু মাত্র ফন্ট এবং কালার দিয়েই এই লগো ডিজাইন করা হয়। কোন কম্পানির সংক্ষিপ্ত এবং সতন্ত্র নামের সাথে এই ধরণের লগো ভাল মানায়। ওয়ার্ডমার্ক লগো নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য যদি কাস্টমারের কাছে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে চান। তবে কিছু শর্ত মেনে ওয়ার্ডমার্ক লগো ব্যবাহার করা দরকার। ওয়ার্ডমার্ক লগো ব্যবহার করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম ছোট হওয়া জরুরী। যাতে লগো ডিজাইনিংয়ে সুবিধা হয়। এবং কম্পানির নাম যেন ইউনিক হয়, যাতে কম্পানির নাম মানুষের মনে একি ধরণের কোম্পানি সম্পর্কে যে ধারণা রয়েছে সেটা বদলে দিতে পারে।

লেটারমার্ক:



একটি লেটারমর্ক লগোতে সাধারণত এক থেকে চারটা অক্ষর বা বর্ণ থাকে, যেগুলো কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর। এধরণের লগো সংক্ষিপ্ত হয়। কোন ছবি বা শেইফ এসব লগোতে ব্যবহার করা হয়না। শুধুমাত্র টেক্সট এবং ফন্ট এর উপর ভিত্তি করে এই লগো ডিজাইন করা হয়। লেটারমার্ক লগো হচ্ছে টাইফোগ্রাফি ভিত্তিক লগো। যখন একটি কোম্পানির নাম বড় হয় সেই কম্পানির নামের প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়েই লেটারমার্ক লগো বানানো হয়। যেমন:-National Aeronautics And Space Administration  এই নামের যদি কোন লগো হয় তাহলে খুব অদ্ভুত দেখাবে। আর এটাকে NASA লিখার ফলে একটা মানানসই ডিজাইন করা হয়েছে। লেটারমার্ক হচ্ছে একটা বাক্যের যেটা একটি কোম্পানির নাম সেটার সংক্ষিপ্ত রুপ। লেটারমার্ক লগো দেখতে এবং উচ্চারণগত দিক দিয়ে অনেকটা অন্যান্য লগোর চাইতে সহজ হয়।

পিক্টোরিয়াল মার্ক:



পিক্টোরিয়াল মার্ক লগো হচ্ছে একটি প্রতীক যেটা গ্রাফিক ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এধরণের লগোতে কোন রকম লিখা বা কোম্পানির নাম থাকেনা। গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে কয়েকটা শেইফকে ব্যবহার করে একটি ছবি বা প্রতীক দাড় করানো হয়। পিক্টোরিয়াল মার্ক লগো সাধারণত নতুন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে খুব একটা ব্যবহার করা হয়না। কারণ এই লগোতে কোম্পানির নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়। পিক্টোরিয়াল মার্ক লগোর দ্বারা কাস্টমারদের বার্তা দেওয়া হয় কোম্পানির কেমন পন্য বাজারে রয়েছে । পিক্টোরিয়াল মার্ক লগো কাস্টমার দেখলে কোম্পানির পন্য সম্পর্কে কাস্টমারের মনে ধারণা চলে আসে। তবে নতুন কোম্পানির বেলাই সেটা ঘটেনা।

অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক:



অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক প্রায় পিক্টোরিয়াল লগোর মতই। এটিও গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যেমে বিভিন্ন শেইফ ব্যবাহার করে  তৈরি করা হয়। এধরণের লগো গোলাকার, ত্রিভুজাকার, চতুর্ভুজাকার বা কোন লাইন, যেকোন শেইফের হতে পারে। অ্যাবস্ট্রাক্ট লগোতে শেইফের ডানে, বামে, উপরে, নিচে কোন লেখা বা কোম্পানির নাম দেওয়া যায়। আর অ্যাবস্ট্রাক্ট লগোর একটির সাথে সাথে মিল রেখে একি কোম্পানির আরো দু-একটি লগো ডিজাইন করে বাজারে প্রকাশ করা হয়। অ্যাবস্ট্রাক্ট লগোর সুবিধা হচ্ছে একবার যদি কম্পোনির লগো বাজারে পরিচিতি পায়, তাহলে সেই লগোর একি শেইফের লগো মানুষের চোখে পড়লেও তারা চিনতে পারে।


ম্যাসকট:



ম্যাসকট শব্দটা শোনতেই যেন মনে কোন কার্টুনের ছবি বা ফানি কিছু মনে আসে। ম্যাসকট লগো বিভিন্ন কালার দ্বারা কিছুটা কার্টুনিশ, এবং কোন ফানি শেইফ বা ছবি যোগ করে লগো ডিজাইন করা করা হয়। ম্যাসকট লগো শিশু বা ফ্যামেলিকে টার্গেট করে ডিজাইন করা হয়। ম্যাসকট লগো খেলাধুলার পণ্যতেও ব্যবহার করা হয়।

কম্বিনেশন মার্ক:



ওয়ার্ডমার্ক, লেটারমার্ক, পিক্টোরিয়াল মার্ক, অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক, এবং ম্যাসকট লগোর সমন্বয়ে একটি কম্বিনেশন মার্ক লগো তৈরি করা হয়। কম্বিনেশন মার্ক লগো হল কোন ছবি বা পণ্যের সমন্বয়। কম্বিনেশন মার্ক লগো হল এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় লগো। নতুন কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কম্বিনেশন  মার্ক লগো খুব জনপ্রিয়। কারণ কম্বিনেশন মার্ক লগোতে ওয়ার্ড ব্যবহার করে কোম্পানির নাম এবং শেইফ ব্যবহার করে কোম্পানির একটা প্রতীক দাড় করনো যায়। যেমন বার্গার কিং থেকে যদি বার্গার কিং নামটা ফেলে দেওয়া হয় তারপরও মানুষ এটাকে বার্গার কিংয়ের লগো হিসেবেই বুঝে নেবে। ঠিক একিভাবে যদি বার্গারের ছবিটাও তুলে ফেলা হয় তারপরও বার্গার কিং নামেই মানুষ চিনে নিবে।

অ্যাম্বলেম:



অ্যাম্বলেম লগো হচ্ছে লগো ডিজাইনের সবচেয়ে পুরোনো সংস্করণ। প্রথম প্রথম যখন লগো ডিজাইন ব্যপারটা মানুষের মনে আসে তখন এই অ্যাম্বলেম জাতীয় লগো দিয়েই লগো ডিজাইন শুরু হয়। অ্যাম্বলেম জাতীয় লগো গুলো কিছু লেখাকে ডিজাইন করে একটা শেইফ তৈরী করা হয়। সাধরণত অ্যাম্বলেম লগো কোন পুরোনো বা ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অ্যাম্বলেম লগো খুব একটা দেখা যায়না। অ্যাম্বলেম লগোতে একটি অসুবিধা হল যখন এই লগো ছোট করা হয়, তখন লগোটা বুঝা যায়না। লগোর লিখাগুলো পড়তে অসুবিধা হয়। যদি কোন কোম্পানির  ওয়েবসাইটের ফেব আইকন হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেখানে অ্যাম্বলেম লগো বেমানান দেখায়। অ্যম্বলেম সাধারণত সিল এবং ক্রেস্টে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। তাছাড়া অ্যাম্বলেম লগো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়।